
অজানা পথে
মো:জিয়াউর রহমান
আমরা সবাই অজানা পথে কিসের ইশারায় সামনে চলছি তা জানিনা । তবে এ সামনের পথটি যতই যাবো ততই আমাদের জীবনের পরি সমাপ্তি ঘটবে। তা যেনো- ও আমরা সেই পাগলা ঘোড়ায় আরোহী হয়ে চোখ বন্ধ করে উদাসীন মাতালের মত সামনে দাবমান।
মাতাল হয়ে প্রাণি বা মানুষ যে আচরণ করে,আমরা সুস্থ হয়ে ও একই আচরণ করি। জীবনের সুখগুলো উলো বনে ছেড়ে একেবারেই অগ্রসর হয়ে আরো সুখ খোঁজার তাগিদে নিজকে একেবারেই শেষ করে দেই।
মিথ্যা, ছলনা কিংবা হাজারো অপকর্মে বিলিয়ে নিজকে লাগামহীন উদ্দীয়মান ঘুড়ির মতো খোলা আকাশে ছেড়ে দেই।
কি হবে জীবনের বাকী সময় টুকু তা একেবারেই অজানা। ধান্দাবাজী,তোষামোদী, মিথ্যাবাদী,হারামে ভরপুর এক গুচ্ছে গাঁথা সব অপকর্ম নিয়ে গড়া জীবনের মূল্য টা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
সবাই সত্য পথের নিশানা দেখেও তা গুজব রেখে গা ঢাকা দিয়ে নিজকে শত সৎ কর্ম হতে অনেক দূরে সরিয়ে রাখে । ধর্মের কর্ম ধর্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে।
তা কোন ভাবেই নিজের মধ্যে ছড়িয়ে রাখতে চাই না।
আসলে আমরা এক অদ্ভূত আলোর ছটায় নিম্নমানের ধাবিত পথে চলছি। যে পথের ঠিকানা আজও অজানা।
হয় তো এ পথের যাত্রীদের যাত্রা শুভ হবে না।
ধর্মের দোহাই দিয়ে চলছে আরেক ধরনের মানুষের নিত্য অপকর্ম। তা হয়ে গেছে এখন আরেক ধরনের মানুষের পুজিঁর আহরনের নিত্য দিনের বাহন।
সমাজে সব ধরনের মানুষের ছায়ায় গড়ে ওঠে সুন্দর একটি সমাজ। সে সমাজের এক ধরনের মানুষ নৈরাজ্য সৃষ্টিতে মাতাল হয়ে ওঠেন।এদের এহেন কর্মকাণ্ডে সব শান্তি ফুরিয়ে সমাজে বয়ে আনে অশান্তি।
কিন্তু এরা অনেক কিছু ই জানে না। কারণ, আমাদের সমাজ আমরাই রক্ষক। তবে হতাশা এই এরা শান্তির বাণী হতে অনেক দূরে অবস্থান করে।
সবাই ধর্মের গোত্রে জন্ম গ্রহণ করে। এই ধর্মের অবগাহনে বড় হয়। সেই ধর্মকর্ম দ্বারস্থ দ্বারা জীবন আলোকিত হয়।
এ মানুষটি ই আবার এসব ধর্মের সব আলোকিত কর্ম ভুলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।যা একেবারেই হাস্যকর জীবন।
আসলে স্বর্গ নরক, দোজখ বেহেশত কোথায়? সব ধর্মের মধ্যে আলোকিত কর্মের কথা উল্লেখ রয়েছে।
আর তা অনুযায়ী আমাদের গন্তব্য কোথায় ?
আমরা কি করছি?
আমরা কোথায় ফিরে যাবো?
সেখানে কি এসব ভালো মন্দের হিসাব দিতে হবে?
এতো অপকর্ম করি কেনো?
দুনিয়ার রাজত্ব কতো কাল?
এতো ছলনায় ঊপার্জন করি কেন?
এতো বাড়ি গাড়ি অবৈধ উপার্জন করি কেন?
আমরা তো সবাই সেই জানা পথের সারথি চড়ে অজানা পথে পাড়ি দিতে হবে।
হয় তো সে সময় টার প্রহর কোন এক সময় নিশ্চিত শেষ হয়ে যাবে। তা বেশি দূরে নেই।