আমার রব

আমার কাছে যিনি মহান
তিনি আমার রব,
তিনিই আমার হাসি-খুশি
তিনি আমার সব।

তিনি আমার চলার শক্তি
তিনি আমার জ্ঞান,
তিনি আমার সুখে-দুখে
ভালোবাসার ধ্যান।

তিনি আমার চোখের ছটা
তিনি আমার জোর,
তিনি আমার এই জীবনে
আলোকিত ভোর।

তিনি আমার মনের আশা
তিনি আমার সাঁই,
তিনি আমার প্রাণে জাগা
সদাই দেখতে পাই।

অতীতের স্মৃতি

নেই সেই ধন আর
নেই সেই জন,
নেই সেই অতীতের
মানুষের মন।

নেই সেই ভাই আর
নেই সেই বোন,
নেই সেই সময়ের
মায়ার বাঁধন।

নেই সেই সুর আর
নেই সেই গান,
নেই সেই জীবনের
প্রতিভার মান।

নেই সেই দিন আর
নেই সেই রূপ,
নেই সেই আগেকার
সুবাসের ধূপ।

ব্যবধান

আমরা হলাম ছোটো মানুষ
মিথ্যে স্বপন বুনি
তোমরা হলে এই সমাজের
মস্ত জ্ঞানী-গুণী।

তোমরা হাঁটো আগে আগে
আমরা হাঁটি পিছে
তোমরা থাকো উপরতলায়
আমরা থাকি নিচে।

আমরা কিছু করলে আশা
তোমরা করো হেলা
ভাগ্যে কেবল হেলাফেলা
এই আমাদের বেলা।

তোমরা চলো গাড়ি নিয়ে
আমরা চলি হেঁটে
একটু সুখের করলে আশা
লাত্থি মারো পেটে।

তোমরা দেখো রাঙা স্বপন
আমরা দেখি সাদা
দেশের মাঝে তোমরা হলে
ভাঙা-গড়ার দাদা।

পরিবর্তন

চেনাজানা ঘরবাড়ি
হ্রাস খুব পাচ্ছে
জমিজমা খালবিল
মাঠ কমে যাচ্ছে।

সবুজের লীলাখেলা
দিনেদিনে কমছে
উঁচুউঁচু দালানের
সমাগম জমছে।

পাখিদের মেলামেশা
আজকাল দেখি না
প্রকৃতির কথামালা
মনেপ্রাণে লেখি না।

মরে গেছে আগেকার
রূপময়ী ছন্দ
বেড়ে গেছে মানুষের
অগণিত দ্বন্দ্ব।

দ্বন্দ্বের বেড়াজালে
দেশ-জাতি ধ্বংস
দিনে দিনে শেষ হয়
সততার বংশ।

কথাঞ্জলি

এই কথা সেই কথা
কত কথা গুনছি,
টক ঝাল মিঠা কথা
অবিরত শুনছি।

কথা দিয়ে আলপনা
আঁকাআঁকি করছি,
কথার আদলে কথা
ঝাপটিয়ে ধরছি।

কথা নিয়ে ঘাটাঘাটি
কত-শত কল্প,
কথার সুতোয় গাঁথি
সুখে-দুখে গল্প।

কথা চলে ছলেবলে
কথা চলে তর্কে,
কথার আলোক দ্বারা
স্বীয় করে পর কে।

ভালোবাসার শক্তি

ভালোবাসি
দেশ আর মাটিকে
ভালোবাসি
প্রকৃতির ঘাঁটিকে।

ভালোবাসি
ফুল আর পাখিকে
ভালোবাসি
সাধনার আঁখিকে।

ভালোবাসি
চাঁদ আর তারাকে
ভালোবাসি
সবুজের ধারাকে।

ভালোবাসি
সুর আর গীতিকে
ভালোবাসি
সততার নীতিকে।

বুঝতে শিখেছি

বুঝতে শিখেছি
নিজের মতো
খুঁজতে শিখেছি
আলো,
হাসতে শিখেছি
রাঙা ঠোঁটে
বাসতে শিখেছি
ভালো।

ডাকতে শিখেছি
স্বাধীন ভাবে
আঁকতে শিখেছি
বর্ণ,
চিনতে শিখেছি
মানবজীবন
কিনতে শিখেছি
স্বর্ণ।

চলতে শিখেছি
রাস্তা চিনে
বলতে শিখেছি
কথা,
গড়তে শিখেছি
জীবনটাকে
লড়তে শিখেছি
যথা।

লেখক পরিচিতি: মোঃ ছাদির হোসেন লেখালেখিতে ছাদির হুসাইন নামে পাঠক মহলে ব‍্যাপক পরিচিত। এই ছড়াকার ও সাহিত্য সম্পাদক সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ধল পূর্ব আশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ছড়াসাহিত‍্যের পত্রিকা কবিনগর বার্তাও দেশের একটা প্রসিদ্ধ ই-ম‍্যাগ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।