হেমন্তের শেষে শীতের আমেজ
গোবিন্দ মোদক

দুর্গাকে বিসর্জন দিয়ে শরৎটা গেছে চলে,
হেমন্তকে কি কানে কানে গেছে কিছু বলে ?
তাই কি হেমন্তের এত বৈরাগ্য ? নিঃসীম !
ভোরবেলা অনুভূতি শিরশিরে, হিম-হিম ?
শরৎকে বিদায় দিয়ে সে কি খুব ভাবছে ?
কামরাঙা সকালের রোদ-কে কি মাপছে ?
দূর ছাই ! হেমন্ত, এবার ভাবনাটা রেখে,
মাঠে যাও দেখে এসো ধান গেছে পেকে !
আমন ধানের ক্ষেতে সোনালি সে ঢেউ ,
আঘায়ণী বাতাসেতে শিষ্ দেয় কেউ !
চাষীর মুখেতে হাসি, ভরে ওঠে গোলা,
মাঠজুড়ে কড়াইশুঁটি কলাই আর ছোলা।
দূর দিগন্তে শুধুই শূন্যতার হাতছানি,
গন্ধরাজ গাঁদা এসে সাজালো ফুলদানি !
খেজুরের রসে মাতে হৈমন্তিক ভোর,
শরতের সকাল এসে খুলে দেয় দোর !
নতুন চালের বাসে নবান্ন যে ডাকে,
পিঠে পুলির প্রস্তুতি পূর্ণতা দেয় তাকে।
মটরশুঁটির লতা হাসে বৈকালী রোদ্দুরে,
হিমানী স্পর্শ জাগে মাঠ শেষে দূরে !
আকাশ প্রদীপ জ্বলে, তারা দেখে তাকে,
হেমন্ত চুপি-সাড়ে শীতটাকে ডাকে !!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।