অবরুদ্ধ
আলী আকবর

মহারাজ পাঠিয়ে ফরমান চাহিলো যুদ্ধাভিযান।
নতশিরে লই ‘জ্বাঁহাপনা! আপনার আদেশ শিরোধার্য্য’।
সহসাসিক্ত অগ্নিসেনার রণতরঙ্গে ছুটি
তোমার ‘হৃদয় দূর্গ’ অভিমুখে।
মনের উপত্যকায় সেনাকন্ঠে গর্জি যুদ্ধপণ
লিপি দূতবার্তা ‘প্রেমাস্ত্র করো আত্মসমর্পণ’।
তোমার পূষ্পমনন ক্লেশচিত্তে করে প্রেমাদ্রোহ,
রাগী ললাটে চিরকুট ছুড়ে বক্ষমেঝে নিরাগ্রহ।
শত্রুমানশে ক্ষেপে আমি ক্রোধদগ্ধ মস্ততূস
অভিমানের অগ্নিতাপে পুড়ে খানখান প্রেমকোষ।
চেয়েছি তোমার ‘হৃদয় রাজ্যে’ আসন পেতে শাসন-সূচীর
রাজা হয়ে মুকুট পরাতে রাজ্যেশ্বরীর্র।
তরবারি ছেড়ে ফুলহাতে রচি জয়ন্তী ইতিহাস
প্রণয় রণে বিষাভিমান শান্তি করেছে নাশ।
প্রেমনদ মোর বিরহে উত্তাল ঝর্ণাহারা জলপ্রপাত,
তোর অশ্রদ্ধায় অধুনা শ্রাবণ্য ঝড় কালবৈশাখী বজ্রপাত।
মাসকে-মাস হৃদূর্গে অবরুদ্ধ রাখিবো দাঁড়,
মাংসে গড়া রাজপ্রাসাদ সুড়ঙ্গ গিরিপথে নেহি ছাড়।
বহিরা প্রেমরসদ আমদানিতে মোর বৈরিতা চঞ্চল
প্রেমবাণিজ্য রপ্তানি কাফেলা কপাটবদ্ধ সমূলে।
প্রীতিশূন্য হৃদয়সম্রাজী মুমূর্ষুে অসীম ক্ষুধা
নৃত্যানন্দে দেখিবো তোর দর্পীত প্রেম-যন্ত্রণা।
প্রারম্ভ ‘অন্তর-অন্তর’ বিস্ময় লড়াই
আমরাই থাকিবো মহাকাব্যে প্রেমে রক্ত ঝড়াই
অবশেষে পরাস্ত হৃদয়ের তূষ্ণীম্ভাবে অভিলাষ ‘প্রেমচুক্তি’।
হৃদয়ভরা উষ্ণ সোহাগ শৈত্য জলরাশি পানে
তুমি পাবে জীবনভিক্ষা
আর আমি হবো তোমার ‘ভালোবাসা বিজেতা’।

লেখকঃ আলী আকবর
শিক্ষার্থী, বিয়ানীবাজার কামিল মাদ্রাসা।
বিয়ানীবাজার, সিলেট।

একটি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।