কামরুল আলম: রেদওয়ান। কখনও ‘রেদওয়ান মাহমুদ’ কখনও ‘রেদওয়ান মাহমুদ চৌধুরী’। কখনও ছড়াকার, কখনও ছড়াকাগজের সম্পাদক, কখনও গল্পকার, কখনও পত্রিকার পাতায় ফিচার লেখক, কখনও সংগীত শিল্পী। সবকিছু ছাড়িয়ে সংবাদ পাঠক ও উপস্থাপক হিসেবেই নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করে নিয়েছিল। বাড়ি আমার বাড়ির পাশেই। প্রাথমিক পরিচয় অনলাইনে। তারপর সরাসরি সাক্ষাৎ। আমার কাছে খুব একটা আসত না। রংমহল টাওয়ারের দোতলায় পাপড়ি অফিস থাকতে তিনতলা থেকে কাজ করে চলে যেত! সিঁড়িতে দেখা হতো প্রায় সময়। একদিন আচ্ছা করে বকা দিয়েছিলাম! তুমি রংমহল টাওয়ারে আসবে আর পাপড়িতে আসবে না, বা আমার সঙ্গে দেখা করবে না, এটা কী করে হয়!
এরপর এলেই দেখা করত। বসত, চা-কফির আড্ডা হতো। তবে তা খুবই কম। কারণ সে তো আসতই কম। এরপর জকিগঞ্জ থেকে সিলেট শহরের বাসিন্দা হয়ে গেল। ভেবেছিলাম প্রতিভাবান এই তরুণ নিজেকে আরও মেলে ধরবে। সেদিকেই যাচ্ছিল। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা ভিন্ন। ইয়া আল্লাহ জান্নাতের মেহমান হিসেবে প্রিয় এ ভাইটিকে কবুল করো।

খবর:সিলেট-জকিগঞ্জ রোডের সড়কের বাজার এলাকায় আজ দুপুর ৩টার সময় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় জকিগঞ্জ টিভির উপস্থাপক, ছড়াকার রেদ্বওয়ান মাহমুদ চৌধুরী (২৫) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
নিহত রেদ্বোয়ান মাহমুদ জকিগঞ্জ উপজেলার খলাদাপনিয়া গ্রামের মাও. কবির আহমদের একমাত্র সন্তান। সিলেটের এম.সি কলেজের অর্থনীতি ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।
জানাযার নামাযসহ বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।