আজকের দিনলিপি:৫১০২০২২

কবি মুহম্মদ রাসেল হাসান

বিগত ভোরের কোলাহলে ঘুম ভেঙে গেল। শিথান থেকে মোবাইল ফোনটি নিয়ে চোখের সামনে প্রদর্শন করে ডিসপ্লেতে চেয়ে দেখি ‘সময়’ নয়টা অতিক্রম করেছে কয়েক মিনিট আগেই। এদিকে সুসেন ভাইর সাথে সকাল ১০টা-১১টার দিকে কবিতাকুঞ্জে দেখা করার কথা। তাই
একরাশ ঘুমের অতৃপ্তি নিয়েই ধীরে ধীরে বিছানা থেকে উঠে পড়লাম। যার ফলে জটপট গোসল করে রেডি হয়ে আমার জন্য সংরক্ষিত সকালের খাবারটা খেয়ে নিলাম। আব্বা আমাকে কিছু কাজ দিয়েছিলেন। ওগুলো করতে পারবোনা বললে ভাত ছাড়া সকাল সকাল কিছু বকাও খেয়ে নিলাম। রেডি হলাম ঠিক, এখন ভাড়া কেমনে চাইবো- সেটাই ভাবছি। ঈষৎ ভয় ও কিছুটা লজ্জা নিয়ে যাওয়ার সম্বলটা চেয়ে ফেললাম। আব্বা নিঃশব্দে লম্বা কদমে ঘরে ঢুকে শার্টের পকেট থেকে বের করে এনে তিন সংখ্যার একটা নোট দিলেন। কিন্তু কোনো কথা বললেন না। বের হলাম ঘর থেকে। আম্মা ডাকছেন। দাঁড়ালে চিৎকার করে বললেন, আবু উস্সের ওয়া (দেখে শুনে) যায়ছ্।
পথ হাঁটতে হাঁটতে ফোনের ডাটাটা অন করতেই মুর্শিদা আপুর মেসেজ- “অটো স্ট্যান্ড থেকে আগে কোথায় যাবো? “ভার্সিটি নাকি কবিতাকুঞ্জ?” “কোনটা কাছে?” শীর্ষক ১জোড়া+ একটি মেসেজে চোখ পড়লো। কোথায় আছেন জেনে- কবিতাকুঞ্জ ওখান থেকে বেশি দূরে নয় বললে তিনি বলেন, “আচ্ছা তাহলে কবিতাকুঞ্জেই যাচ্ছি।” “আমিও কবিতাকুঞ্জেই আসতেছি। পথে আছি।”- কথাটির প্রতুত্যর পাওয়ার আগেই কে কে আসতেছেন জিজ্ঞেস করলে বর্তমান প্রশ্নের উত্তরের জন্য আসেনি আর পূর্বোক্ত প্রশ্নের উত্তরটি।
একটু সামনেই একটি অটো পেয়ে গেলাম। উঠলাম। চালক আমাদের বাজারে সিএনজি স্টেশনে থেমে একজন সিএনজি ড্রাইবারের কাছে বিনীত সুরে বললেন, “ভাই আমি শহরে যাইগা?” তখন অটো চলার কানুন ছিলনা বোধহয়। এরইমধ্যে মুখোশসহ বোরকা পরিহিত একটি মেয়েও উঠে পেছনের আসনটিতেই তথা আমার পাশের খালি জায়গাটি দখল করে বসলেন। ওই নন্দিনীর শুভ্র হাত তাঁর সৌন্দর্যের স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছে। আমাদের অটো চলছে। রাস্তার ভাঙা জায়গায় অটো ঝাঁকিতে ঝাঁকিতে দুজনের বাহুতে আলিঙ্গন হেনে যাচ্ছে।
বর্শিকুড়া এলাকায় রাস্তার ডানে একটি কলার ভেনগাড়ি দেখে অটোচালক অটোটি থামিয়ে কলার কান্দা থেকে একটি করে করে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ক’টি নিচ্ছেন। বিক্রেতা তখন গাড়ির ডানে অর্থাৎ পশ্চিমদিকে ফিরে আরেকটি লোকের সাথে কথা বল়ছেন। তার সাথে মুখোমুখি কথা বলা লোকটি অর্থাৎ যে লোকটি পূর্বদিকে কলার গাড়িটির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে আছেন, তিনি রসাত্মক স্বরে বললেন- এই, এই ছাগলে কলা নিতাছেগা। দোকানদার দ্রুতগতিতে হিস্, হিস্ করতে করতে তার হলুদ ফলের গাড়িটির দিকে থাকাতে থাকাতে তৃতীয়বার হিস বলার আগেই দেখলেন তার পরিচিত এক অটোর ড্রাইবার কলা নিচ্ছেন। তখন আমার সাথে মেয়েটিও তুমুল হেসে গড়াগড়ি খেল।
রেলক্রসিং নেমে আরেকটি অটোতে উঠলাম। ছোটবাজার এক মিনিটের জন্য নেমে একটি সংবাদ এজেন্সির দোকানে গিয়ে গতকালকের দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাটি খুঁজলাম। পেলাম না। এসে দেখি দেরি করায় অটোওয়ালা ক্রমাগত বকে চলছেন আমাকে। বিনত হয়েই আবার তার গাড়িটিতে উঠে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে নামলাম। কবিতাকুঞ্জ পর্যন্ত যাওয়া অটোতে উঠার জন্য হেঁটে যাচ্ছি চক মসিজদ মোড়ের উদ্দেশ্যে। এরইমধ্যে ডানে অহরহ চলাচল করা অটোগুলোর কোনোটার মধ্য থেকে সমস্বরে দুটি পরিচিত কণ্ঠ ‘রাসেল’ এবং ‘কবি’ বলে ডাক শুনা গেল। তখন আমাকে অতিক্রম করে সামনে চলমান একটি অটোর পিছনের ফাকা জায়গাটি দিয়ে দেখা গেল মুর্শিদা আপুকে। অটোটিকে ডাক দিতেই থামল। কাছে এসে এক পলক পরখ করে নিলাম সমস্তটা অটো। মুর্শিদা আপু, মিমি আপু এবং হিয়া মামণি ছাড়াও আছেন শাকিল ভাই ও আন্টি (মুর্শিদা আপুর মা)। তাঁরাও কবিতাকুঞ্জেই যাচ্ছেন। তাই আমিও উঠে পড়ি। অটোতে উঠে কি- মান হলো নাকি বেমানান হলো বুঝতে পারছিনা। কারণ দুর্গাপুর থেকে আগত এই মানুষগুলোর সাথে তাঁদের এলাকায় একদিন চীনা মাটির পাহাড়, স্থানীয় পার্ক এবং হাজং বাড়িসহ সীমান্ত এলাকা চষে বেড়িয়েছিলাম। তখন হৈ-হুল্লোরের সাথে কত আনন্দই না করেছিলাম পুরোটা দিন। তাঁরা আমাকে বলছিলেনও, “একদিন নেত্রকোণায় যাবো। তখন তুমি কবিতাকুঞ্জ’সহ নেত্রকোণা শহরের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো আমাদের নিয়া ঘুরবা।” আমি সেই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অথচ আজ সেই একই মানুষগুলো নেত্রকোণায় আসলো, আমারই নিকট হতে মেসেঞ্জারে কবিতাকুঞ্জের লোকেশন জানলো। পূর্বে নয়, এখনও বললোনা- “তুমিও আমাদের সঙ্গী হও। আমাদের নিয়ে ঘুরো।” তখন ভিতরে কেন এবং কেমন যেন একটা বেহায়া বেহাগ করুণ সুর বেজে চলেছে। এদিকে হিয়া মামণির সাথে খুনসুটি করছি। অগ্রণী ব্যাংকের সামনে মুর্শিদা আপু ব্যাংকে যাবে বলে নামলেন। তখন এক নারী এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কেমন আছ রাসেল?’ অটো আবার ছাড়লে খেয়াল হলো- উনি ছিলেন নবীন লেখিকা আকলিমা খাতুন। আমরা ‘কবিতাকুঞ্জে স্বাগতম’ লেখা সাইনবোর্ডটির সামনে নামলাম। হিয়াকে কোলে নিয়ে নদীর পাড় দিয়ে বয়ে চলা এই ছোট্ট পথটি দিয়ে যাচ্ছি। দূর থেকে কবিতাকুঞ্জকে অনেকটা ঢেকে রাখা একটি বাড়িকে দেখে মিমি আপু বললেন, ‘কবিতাকুঞ্জরে যেমন ভাবছিলাম এমন না দু।’ হেসে বললাম, এটা কবিতাকুঞ্জ না।
এসে গেছি বিশ্ব কবিতার বাসগৃহটির সামনে। গেট পেরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরের দরজাটি লক করা। সুসেন ভাইকে ফোন দিলে ব্যস্থ পেলাম। তখন তাঁর বাসার সামনে গিয়ে দেখলাম ভাই কানে ফোন ধরে কথা বলছেন। আমাকে দেখেই বললেন, “কেমন আছ রাসেল? বসো, আসতেছি। কবির (গুণ দাদু) সাথে কথা বলতেছি তো, বসো একটু।” এসে শিউলি গাছটির সাথেসহ গ্রন্থাগারটির বিভিন্ন দিকে আমরা কিছু ছবিটবি তুলে নিলাম। মুর্শিদা আপু এসে এক মিনিট থেকে আবার ‘এক্ষুনি আসছি’ বলে চপল পায়ে কই চলে গিয়ে একটুপরই এসে পড়লেন।
সুসেন ভাই কবিতাকুঞ্জ খুলে দিতে লোক পাঠালেন। আমরা কবিতাকুঞ্জের ভিতরে গিয়ে বসলাম। বই নিয়ে দৌড়াদৌড়ি এবং শুয়ে পড়ে পড়ে হিয়া মামণি তুমুল দুষ্টুমি করছে। পাখির আদলে গুণ দাদুর একটি সম্মাননা ক্রেস্ট দেখে, আমার কাছে আবদার করে বসলো “পাখিটি দাও না আমারে।”
তখন সুসেন ভাই এলেন। ভাই’র সাথে কুশল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে শুরু হলো আলাপ। দীর্ঘদিন পাশাপাশি বসে আলাপ না হওয়ায় কত কথা যে জমেছে আমাদের। তাই হচ্ছে। মুর্শিদা আপুরা চলে গেলেন। একটু পর প্বার্থ ভাই আসলেন। কুশল বিনিময়ের পর পুনরায় আলাপে মগ্ন হলাম। ক্যামেরার পটাশ পটাশ শব্দ শুনে চেয়ে দেখি প্বার্থ ভাই আমাদের দু’জনের ছবি তুলছেন। এদিকে দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের কথা গড়িয়ে উপসংহারে পৌঁছুচ্ছে না। তবুও বিকেলের দিকে এত সুন্দর ছন্দসিক এই আড্ডার যবনিকা ঘটিয়ে আমারও উঠতে হলো। সুসেন ভাই আমগাছতল পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন। জোর করে স্পিড খাওয়ালেন। তারপর বিদায় নিয়ে একটি মিশুকে উঠলাম। ওখান থেকে ইসলামপুর মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙে বেহাল হয়ে গেছে। তখন জাতীয় পত্রিকায় “কবিতাকুঞ্জে যাওয়ার রাস্তাটি সংস্কার চাই” শীর্ষক একটি চিঠি লিখবো ভেবে রাস্তাটির কিছু ছবি তুলে নিই। এরপর পথশিশু সেবা ফাউন্ডেশন কতৃক জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে যাব কিনা ভাবছি। দাওয়াত পেয়েছিলাম এবং রুদ্র’ও যাওয়ার জন্য খুব করে বলছিল রাতে। ভেবে চলে গেলাম অনুষ্ঠানটিতে। চমৎকার একটা অনুষ্ঠান। মুর্শিদা আপু কবিতা আবৃত্তিতে বিজয়ী হয়ে থার্ড প্রাইজ জিতেছেন। ভালো লাগলো দেখে। তাঁর পুরস্কার গ্রহণের পর বিদায় নিলাম তাঁদের কাছ থেকে।
প্রেসক্লাব ক্যান্টিনে কফি খেতে খেতে রুদ্রর সাথে কিছুক্ষণ কথা ও কবিতা নিয়ে আলাপচারিতা হলো।
ওখান থেকে আমি বের হলাম। তখন টেলিফোন করলাম নেত্রকোণা পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট, এডভোকেট আব্দুল হান্নান রঞ্জন দাদাকে। দাদার সাথে অনেকদিন একসাথে বসা হয়না। সেদিন বিদগ্ধ মানুষটিও শহরে আসলে দেখা করার কথা বলছিলেন। দাদা আমাকে খুব স্নেহ করেন। তো, টেলিফোন করে কথামতো চলে যাই মোক্তারপাড়া ব্রিজের দক্ষিণে একটি চা স্টলে। দেখা হয়, শুরু হয় দু’জনের আলাপচারিতা। একটুপর রুদ্র- কোথায় আছি জিজ্ঞেস করলে ঠিকানা বললে সেও চলে আসে। দাদার সৌজন্যে চা বিস্কুট খেতে খেতে কথা হচ্ছে। তাঁর কথা থেকে অনেক মেসেজ পেলাম। এক পর্যায়ে খেয়াল করে দেখি হেমন্তের সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। তখন পুনরায় আরেক প্রানবন্ত আড্ডার ইতি টেনে দাদার কাছ থেকেও বিদায় নিয়ে উঠলাম। হেঁটে ব্রিজ পার হচ্ছি, হাঁটতে আনন্দই লাগছে। মাথায় অনেক কথার ভিড়ে রঞ্জনদা’র নান্দনিক, যুক্তিযুক্ত ও অকাট্য সত্য একটি কথাই পুনঃপুনবার বেজে উঠছে- “ভালোবাসাকে যে হত্যা করে সে ভালোবাসার মানুষ হতে পারেনা”।
একটি অটোতে উঠলাম। হৃদয়ে আরও কত কথা ঝংকৃত হয়ে যাচ্ছে। ভাবছি- আমি একটি প্রকট ভুল করি। সেটি হচ্ছে মানুষকে সহজেই আপন করে নিই। এবং তারচেয়ে সহজেই তুমুল ভালোবেসে ফেলি। আরেকটি ভুল হচ্ছে, আমি যতটা ভালোবাসি সেই মানুষ বা মানুষগুলোকে, আমি মনে করি তাঁরাও আমাকে আমার মতোই গভীর করে ভালোবাসে। আসলে তারা তার অর্ধেকও বাসে না।
তবুও কেন যে আমি পুরো ভালোবাসাটুকু আদায় করার জন্য বেহায়া হয়ে পড়ি- সেই নিগুঢ় ত্বত্ত্বটি কখনো আবিষ্কার করতে পারিনি।
তেরী বাজার মোড়ে অটো থেকে নেমে আরেকটি অটোতে উঠি। একটু এগোতেই প্রচন্ড জ্যাম সৃষ্টি হয়। অটোওয়ালা “জ্যাম লাগছে বিরাট, হাইটা যাওগা” বললে নামলেই দেখি মহিউদ্দিন ভাই আসছেন। ভাই মুচকি হেসে দূর থেকেই কবি “কেমন আছ” বললে উত্তর বিনিময় পূর্বক কুশলবিনিময় করতে করতে দু’জনে ডাকবাংলার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াই। আলাপকালে দেখতে পাই আমার মিতা, শিল্পী, শ্রদ্ধেয় রাসেল ভাইকে। হাত নাড়তেই ভাই এগিয়ে এলেন। ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করার জায়গায় ‘এই মিয়া এত শুকাইতাছো কেন?’ বলার মধ্য দিয়ে তিনজনের আরেকটি আড্ডা জমে উঠে। এই আড্ডায় রাসেল ভাই তাঁর লেখা বিখ্যাত গান- ‘আর হবেনা দেখা বন্ধু, আর হবেনা দেখা’ এবং ‘আমি গান গাই না, একটু একটু লিখি” গানটি গেয়ে শুনিয়েছিলেন। তারপর উঠলাম। রাত হয়ে গেছে বলে কথা। রাসেল ভাইও আমাকে বেশি বেশি খাওয়ার উপদেশ দিয়ে উঠলেন।
একটি অটোতে উঠলাম। ভাবছি, কতজনের সাথে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে, আড্ডা হচ্ছে। সবাইকে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি মনে করছি, তাঁরাও। এও ভাবছি, এই মনে করেও ভ্রম করছিনা তো পূর্বের ন্যায়? যাহোক,
রেলক্রসিং নামলে অটোওয়ালা ভাড়া ১০টাকা বললেন। আমি বললাম স্টুডেন্টদের তো ৫টাকা। উনি বললেন, “আপনের সাথে আইডি কার্ড নাই, আইডি কার্ড ছাড়া বিশ্বাস করিনা।” পরে ব্যাগ থেকে পত্রিকার একটি কার্ড বের করলাম। আলো আঁধারের সেই স্থানটিতে ড্রাইবার এই কার্ডটিকেই স্টুডেন্ট আইডি কার্ড ভেবে পাঁচ টাকা রাখলো।
তারপর সিএনজিযোগে এসে হাটখলা বাজারে নামি।
ওখানে দেখি চা স্টলে ওয়াজেদ কাকা (মেঝো কাকা) চা খাচ্ছেন। কাকা আমাকেও ডেকে নিয়ে আমার প্রিয় দুধ চা খাওয়ালেন।
চাঁদনী রাত। আকাশ ভরা তারা। রাস্তা ভরা জ্যোৎস্না। দু’জনে বাড়ির উদ্দেশ্যে জ্যোৎস্নার মধ্য দিয়ে হাঁটছি। তখন মনে পড়ল ছোটবেলার কথা। সেসময় যখন কাকার সাথে বাজারে যেতাম তখন আমি সর্বোচ্চ জোরে হেঁটেও কাকার পিছনে পড়ে যেতাম একটু পরপর। মাঝে মাঝে দৌড়ে গিয়ে কাকার সাথে একসাথে হতাম। আর এখন আমি আস্তে আস্তেই হাঁটছি। অথচ কাকা তার সর্বোচ্চ জোরে হেঁটেও আমার পিছনে পড়ে যাচ্ছেন।

মুহম্মদ রাসেল হাসান
৫.১০.২২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *