মুক্তকথন: দেশের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর গান লিখেছি তবুও বাংলা একাডেমি আমাকে কেন পুরস্কার দিবে না? আমি প্রশ্ন রাখতে চাই। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পড়ে দেশের সম্পদ কারা? দেশের জন্য কে কি করেছে তাদের লিষ্টি হয়েছে কিন্তু তাতে আমার নাম নেই কেন? জাগ্রত কবি এক ভিডিও লেকচারে এসব কথা তুলে ধরেন। কবি আরো বলেন আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বাংলা একাডেমি এক চোখে তাকিয়েছে। আর এসবের পিছনে জড়িত রয়েছে মিডিয়া ও নাস্তিক দুই শক্তি।

তিনি আরো বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারী ও২৬শে মার্চে এখনো সেই যুদ্ধের সময়কালের পুরাতন গানগুলোই বাজে। নতুন কোনো গান বাজে না। পুরানো গান শুনবো ভালো কথা কিন্তু নতুন কোনো গান নেই কেন দেশের? এই পঞ্চাশ বতছরে কেন পঞ্চাশটি গান হলো না? এদেশে কি কোনো গায়ক,গীতিকার ছিলনা। মানুষকে নষ্ট করার জন্য তো ঠিকই লেখা হয়েছে।

কিন্তু যিনি দেশের জন্য লিখেছেন তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। আমি দেশের জন্য লিখেছি (আবারো যুদ্ধ হবে)

যদি আমার দেশের সীমানা বন্ধু মুছে দিতে কেউ চায়।
যদি আমার মাটির ধন-সম্পদ লুটে নিতে কেউ চায়।
যদি আমার পাহাড়ে আমার সাগরে ভেড়ায় লোভের চোখ।
আমি প্রতিবাদে জ্বলে উঠবোই তবে যা হবার তাই হোক।
এই শান্ত সবুজ পতাকায় যদি পড়ে শকুনের থাবা।
এই সুপ্ত-বারুদ জাতি নিয়ে ফের খেলে যদি কেউ দাবা।
কোটি মানুষের প্রাণের কুটির আগ্রাসনের হাত যদি কেউ বাড়ায় তবে…..(আবার যুদ্ধ হবে, আবার যুদ্ধ হবে,আবার যুদ্ধ হবে,আবার যুদ্ধ হবে।)
যদি ষড়যন্ত্রের জাল ফেলে কেউ আমার দেশকে ঘিরে।
রেসকোর্সের তপ্ত ভাষন আবার আসবে ফিরে।
দুশমন যদি খর্গ চালায় নকল বন্ধু সেজে।
কালুর ঘাটের দৃপ্ত ঘোষনা আবার উঠবে বেজে।
সেই স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্র আবার গর্জে উঠবে।
আর বাংলামাটির সূর্য সেনারা রাইফেল হাতে ছুটবে।
হোক নমস কিংবা নবঝড়, জাতি জীবন মরন লড়াই করেই মুক্ত রবে…..

(আবার যুদ্ধ হবে, আবার যুদ্ধ হবে,আবার যুদ্ধ হবে,আবার যুদ্ধ হবে।)

যদি ইট পাথরের দূর্গ দেয়াল ভেংগে ভেংগে যায় পড়ে।
শহীদ তীতুর বাঁশের কেল্লা আবার তুলবো গড়ে।
যদি রক্তের নদী পেড়িয়ে আবার নতুন রক্ত ঝরে।
সেই ভাংগা কেল্লায় উড়াবো নিশান আবার নতুন করে।
এই মুসলমানের অভয়ারন্যে কাউকে দেবোনা ঢুকতে।
মোরা পাথরের নয় পাঁজরের বাঁধ গড়বো তাদের রুখতে।
কোন তাবেদার, কোন গাদ্দার যদি মীরজাফরের সেই কালোপথ মাড়ায় তবে…..

(আবার যুদ্ধ হবে, আবার যুদ্ধ হবে,আবার যুদ্ধ হবে,আবার যুদ্ধ হবে)

মোরা পৃথিবীর কোন পরাশক্তির মানিনা খবরদারী।
কোন শৃংখল কোন অবরোধ কোন হুমকি বা হুশিয়ারী।
এই পৃথিবীর বুকে বন্ধু সবাই, প্রভূ নয় কেউ কারো।
দখল, শোষন, উৎপীড়নের সব পায়তারা ছাড়ো।
মোদের ইতিহাস আছে সম্মান আছে না থাক বস্ত্র অন্ন।
এই দেশের জন্য লড়েছি আমরা, মরেছি ভাষার জন্য।
যদি জল-স্থল কিবা অন্তরীক্ষে কেউ আমাদের বাধার শিকল পড়ায় তবে….

(আবার যুদ্ধ হবে, আবার যুদ্ধ হবে,আবার যুদ্ধ হবে,আবার যুদ্ধ হবে।)

আমি লিখেছি৷ ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি

ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি সোনার চাইতে খাটি নগদ রক্ত দিয়ে কেনা।
শত্রু বা হানাদার একটি কনাও তার কেড়ে নিতে কেউ পারবে না।
ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি সোনার চাইতে খাটি নগদ রক্ত দিয়ে কেনা,
কসম সেই খোদার একটি কনাও তার কেড়ে নিতে কেউ পারবে না।
রঙ্গের তুলিতে আঁকা সবুজের ছায়া ঢাকা সুজলা সুফলা পরিপাটি
লক্ষ শহীদ গাজী রেখেছে জীবন বাজী করেছে স্বাধীন এই মাটি।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ তোমার বাংলাদেশ সবার প্রাণ। ধন্য ধন্য আমি সবার চাইতে দামী বাংলা মাটির সন্তান। বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ তোমার বাংলাদেশ খোদার দান। সোনার জন্মভূমি তোমার জন্য আমি জীবন দিয়েছি কোরবান।

চারোদিকে দুশমন ভেঙ্গোনা ভেঙ্গোনা মন সাহস জমিয়ে রাখ বুকে,
ঈমান জিন্দা করে জিহাদের হুংকারে পরাজিত করো শত্রুকে।
চারিদিকে গাদ্দার ভিনদেশী রাজাকার সজাগ দৃষ্টি রাখ সবে।
সকল মীরজাফর বিদেশী গোলামচর রুখতে তাদের আজ হবে।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ তোমার বাংলাদেশ সবার প্রাণ। ধন্য ধন্য আমি সবার চাইতে দামী বাংলা মাটির সন্তান। বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ তোমার বাংলাদেশ খোদার দান। সোনার জন্মভূমি তোমার জন্য আমি জীবন দিয়েছি কোরবান।

শান্ত মাটির নিচে এখনো ঘুমিয়ে আছে ৩৬০ আউলিয়া। সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা, ভাসানী, মুজিব ওসমানী ও জিয়া।
শহীদ তিতুর দেশে মুক্ত স্বাধীন বেশে সবুজ লাল পতাকা উড়ে।
সময়ে ঝড়ের বেগে চেতনা উঠবে জেগে পনের কোটি অন্তরে।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ তোমার বাংলাদেশ অম্লান।
বুকের রক্ত ঢেলে রেখেছি সবাই মিলে মাতৃভাষার সম্মান।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ তোমার বাংলাদেশ চিরমহান।
এ মাটির বুক হতে বাজবে সারা জগতে বিশ্ব মানবতার গান।
অনেক দামের দেশ রক্ত ঘামের দেশ মায়ার বাধন বড় বেশী।
হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান সকলেই তো বাংলাদেশী।
কেন তবে সংঘাত কেন কিসের বিবাদ ভাইয়ে ভাইয়ে রাখ হাত হাতে।
সমরে বক্ষপাতি হয়েছি শ্রেষ্ঠ জাতী নজির দেখাও দুনিয়াতে।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ তোমার বাংলাদেশ সবার প্রাণ। ধন্য ধন্য আমি সবার চাইতে দামী বাংলা মাটির সন্তান। বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ তোমার বাংলাদেশ খোদার দান।সোনার জন্মভূমি তোমার জন্য আমি জীবন দিয়েছি কোরবান।

ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি সোনার চাইতে খাটি নগদ রক্ত দিয়ে কেনা।
শত্রু বা হানাদার একটি কনাও তার কেড়ে নিতে কেউ পারবে না।
ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি সোনার চাইতে খাটি নগদ রক্ত দিয়ে কেনা,
কসম সেই খোদার একটি কনাও তার কেড়ে নিতে কেউ পারবে না।
রঙ্গের তুলিতে আঁকা সবুজের ছায়া ঢাকা সুজলা সুফলা পরিপাটি।
লক্ষ শহীদ গাজী রেখেছে জীবন বাজী করেছে স্বাধীন এই মাটি।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ তোমার বাংলাদেশ সবার প্রাণ। ধন্য ধন্য আমি সবার চাইতে দামী বাংলা মাটির সন্তান।বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ তোমার বাংলাদেশ খোদার দান। সোনার জন্মভূমি তোমার জন্য আমি জীবন দিয়েছি কোরবান।

ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি, ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি, ইঞ্চি ইঞ্চি…

বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ১৫ জনকে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করেছে এবং তাদের নামও প্রকাশ করেছে। কিন্তু নামের তালিকায় জাগ্রত কবি মুহিব খান এর নাম নেই। যাদের নাম প্রকাশ করেছে তারা হলো, কবিতায় আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ, কথাসাহিত্যে ঝর্না রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধ/গবেষণায় হোসেনউদ্দীন হোসেন, অনুবাদে আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী, নাটকে সাধনা আহমেদ, শিশুসাহিত্যে রফিকুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় পান্না কায়সার, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় হারুন-অর-রশিদ, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশবিজ্ঞানে শুভাগত চৌধুরী, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনিতে সুফিয়া খাতুন ও হায়দার আকবর খান রনো এবং ফোকলোরে পুরস্কার পেয়েছেন আমিনুর রহমান সুলতান।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে তাদের পুরস্কার তুলে দিবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।