সে
এবিএম সোহেল রশিদ
ঠোঁটের রেণু দিয়েছিল যে উজার করে
সে আজ পৃথিবী থেকে মুক্তি পেয়েছে।
কাঁঠালচাঁপা’র ফাঁকে দেখাতে চেয়েছিল চাঁদ
বালিয়াড়ির হীম-বাতাসে বসিয়ে তীর ভাঙা ঢেউ
অথচ না ফেরার খাটিয়ায় আজ, পড়ে আছে ‘সে’।
চুপ! একদম চুপ! ভেঙে যাবে ঘুম!
কেউ তাকে জাগিও না, ঘুমুতে দাও!
দেখ দেখ, ঠোঁটে লেগে আছে রক্ত আবীর
চোখের কাজল নেয়নি কেউ মুছে
‘সে’ জোৎস্না ফোটা রাতে গভীর ঘুমে
জোনাকির কৃতজ্ঞতায় আশ্রয়েরওমে।
আচ্ছা মৃত্যুর পরেও কি কেউ সৌন্দর্য বাড়ে
না-কি সৌন্দর্যের দ্যুতিতে লেপ্টে থাকে লাশ।
আমাকে বর্তমানের কাছে যেতে দাও
অথবা মৃত্যুদূতকে মুখোমুখি দাঁড় করাও
জানতে চাইব, ‘ভালোবাসা হত্যার মদদাতা কে?
পূর্ণতার আগেই গ্রাস করেছে ভাঁটফুল
একদিন যে নিজেকে সঁপেছে স্বেচ্ছায়
তাকে আজ ব্যবচ্ছেদ করেছে সরকারি ডোম
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ‘আত্মহত্যা’
নান্দনিক লেখনী