শীতের সকাল
মোঃ কাজী আব্দুল্লা হিল আল কাফী
শিশির কণায় ভরে নিশি দিন ভোরে
শীতের সকালে,
সবাই পোহাতে রৌদ্র শীতে যেন ক্ষুদ্র
শিশু সব কোলে।
কুয়াশায় ভরে আছে ভোর আর সাঝে
ঠান্ডায় কাঁপছে,
কাপড় চোপড় নেই ঠান্ডা কোথা যাই
আগুন পোহাচ্ছে।
ফসল ফলাতে ঘাড়ে হাল গরু নীড়ে
কুয়াশায় মাঠে,
হিমেল হাওয়া বয় সব লোকে কয়
ডিঙ্গা ফিরে ঘাটে।
নানী দাদী ভোরে উঠে নারিকেল কুটে
তৈরী সব করে,
ঘুম থেকে উঠে পিঠা খেয়ে ভরে মিঠা
আরো পিঠা গড়ে।
সকাল বেলায় রোজ করা হয় ভোজ
ভাপা পিঠা দিয়ে,
চালের আটার পিঠা বেশ খানি মিঠা
আটা গুড় নিয়ে।
খেজুর গাছের রস খেতে নাহি বস
শীতকালে পায়,,
সকাল বেলায় যায় বেশি করে পাশ
মজা করে খায়।
শিশির কণায় ডুবে সোনালী ফসল
ঘাস লতা পাতা,
শীতের সকালে যেন সবার ই মনে
গল্প বেশ গাঁথা।
সোনালী ফসলে ঘন মাঠ ঘেরা বন
দেখে মন ভরে,
সবুজে শ্যামলা ঘেরা মাঠ ঘাট সব
পাখি ডাকে সুরে।
মধুর গলায় ধরে গান ভরে যায়
কৃষকের প্রাণ,
কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারিদিকে যেন
শিশিরের ঘ্রাণ।
কেনার সামর্থ্য নেই শীতের পোশাক
ঠান্ডা চেপে ধরে,
শীতের কারণে বেশ খানিক মানুষ
কেঁপে কেঁপে মরে।
নেই যে ঘরে আহার নেই দামী সাজ
কষ্টের পাহাড়,
দেহের মাঝে নেই যে গরম কাপড়
নেই যে বাহার,
তবু তাঁরা সুখে থাকে এই গেল ঠান্ডা
চলে যায় শীত,
সুখে দুঃখে সবাই মিলে এক সাথে
নেই কোন ভীত।