গ্রাম অবলীলা
মোহাম্মাদ নাঈম কাকন

বাংলার গ্রাম,গঞ্জ,সদ্য দেখিনি আমি
শুনেছি কত তার মনোরম পরিবেশ,
ভোরের রক্তিম রবি উঠার আগেই
কর্ম ব্যস্ততায় হয় সবাই মনোবেশ ।
শুভ্র শিশির ভোর আজানের ধ্বনি শুনে
প্রভুর প্রার্থনায় জাগ্রত সমবেত গ্রাম্যবাসী,
কৃষাণ,কৃষাণী,মুট,মজুর,জেলে সর্বজীবি
অন্ন যোগানে নিত্য কর্মে চলে ছুটাছুটি।
সবুজ লতা পাতা গ্রাম্য প্রকৃতি বর্ণ মুখর
বাড়ায় নয়ন দৃষ্টির জ্যোতির সুভ্রতা,
ছোট্টো বালক বালিকা ছোটে বিদ্যালয়
কাঁচা মাটি আঁকাবাঁকা পথ নিরবতা।
কত রঙ রঙ্গিন ভ্রমর,প্রজাপতি ডালে ডালে
কত পুকুর জলে পদ্ম ফুল ফোঁটে,
তার ফাঁকে কলকল হাঁসগুলো
সারি সারি দল বাঁধি সাঁতার কাটে।
শত শত আবাদী জমি চাষীর শ্রমে ফলে
সোনালী পাকা ধানে ধানে ক্ষেত ভরা,
গ্রাম থেকে বন্দর শহর যেতে লাগে
গ্রাম্য লোকালয় জনজীবন নৌকা ভাড়া।
বাংলার আগমনী ষষ্ঠ ঋতুর প্রাণবন্তে
ঘটে নান্দনিক যাদুর ছোয়ার পরশ
গ্রাম্য প্রকৃতির রূপলীলা বৈচিত্র্যময়
বিশুদ্ধ মাছ ফুল ফল সব্জিতে বড্ড সরষ।
সকাল অব্দি দুপুর প্রহান্ন চলে সমাগম
হাঁট বাজার বেচাকেনা ঐতিহ্য বটতলা,
পূর্ব রবি পশ্চিমে হেলিলে তৎ লগ্ন সুনসান
ধূসর অন্ধকারেছায়,ঘুটঘুটে সন্ধ্যাবেলা।
সন্ধ্যার জোনাকি ঝিঁ ঝিঁ অবিরাম ডাক
চাঁদ তারা জ্যোৎস্নাময়ী গ্রাম্য অবলীলা,
মুক্ত জীবন যাপনে,গ্রাম্য অবদান কম নয়
জন্ম,আয়ু, সুস্থতা নিত্য রুটিনে শৃংখলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *