কেমন আছো ভাইয়া

ভাইয়া তুমি কেমন আছো?
তোমার সাথে আড়ি
কোথায় আমার গল্পের বই
রিমোটঅলা গাড়ি?
ভাইয়া তুমি সুস্থ আছো?
বাড়ল ওজন কত?
নাকি তুমি ফিনফিনে সেই
আছো আগের মতো?

ভাইয়া তোমায় মনে পড়ে,
আসবে কবে বাড়ি?
শহর থেকে আমার জন্য
আনবে রঙিন গাড়ি।
ভাইয়া তুমি ভালো থেকো
আমরা ভালো আছি
দূরে থেকেও আমরা যেন
সবাই কাছাকাছি।

আছাড় খেল ভূত

বাইরে ভীষণ ঝোড়ো হাওয়া
ঝুমঝুমাঝুম বৃষ্টি
কী খাওয়া যায় কী খাওয়া যায়
করছিল ভূত লিস্টি।
বাদাম-চানা কাঁচকলা আর
বোয়াল মাছের মাথা
বৃষ্টি থামার নেই কোনো নাম
নেই ঘরে ফের ছাতা।

অগত্যা ভূত ভিজে ভিজেই
রওনা দিল বাজারে
পথের কাদায় আছাড় খেয়ে
ভাঙল ভূতের মাজা রে।
বদ্দিমশাই ভূতকে দিল
পাতিল ভরা দাওয়া
লিস্টি করা খাবার ভূতের
আর হলো না খাওয়া।

পথশিশুরা

তোমরা যখন তৃপ্ত খেয়ে
সুখের হাসি ঠোঁটে
ওরা তখন পথের ধারে
আবর্জনা খোঁটে।

তোমরা যখন এসি রুমে
ঘুমাও দামি খাটে
ওরা তখন ইস্টিশনে
কেউবা খোলা মাঠে।

তোমরা যখন ইশকুলে যাও
বইখাতাব্যাগ কাঁধে
ওরা তখন ক্ষুধার সাথে
লড়তে কোমর বাঁধে।

তোমরা যখন মায়ের হাতে
খাচ্ছ প্রতিবেলা
ওরা তখন খাচ্ছে গালি
গিলছে অবহেলা।

ছড়াকার মুজাহিদ

মুজাহিদ আল কারিম, বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রপত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত এই কিশোর ছড়াকার বর্তমানে অধ্যয়নরত আছেন কাজিপুর আল-জামিয়াতুল মাদানিয়া, সিরাজগঞ্জ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *