সবুজ-শ্যামল ঘাসে ভরা সবুজ গ্রামটি বল্লী। ভাটি বাংলার পিয়াই নদীর তীরে হাওর ঘেরা বৈচিত্রের রঙে অপরূপ প্রকৃতির মাঝে নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলায় এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন কবি মইনুল হাসান আবির। আজ তার ২৪ তম জন্মদিন। দেশের মাটি ও মানুষের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন কবিতায়, ছড়ায় ও ছোট গল্পে। তিনি দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় আদর্শবান একজন মানুষ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বেশ অবদান রাখছেন। মইনুল হাসান আবির ২০০০ সালের ২৫’শে সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলায় বল্লী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ‘মনির হাসান’ “মইনুল হাসান আবির” কবির সাহিত্যিক নাম। কবির পিতার নাম মাসুক মিয়া ও মাতার নাম শালমিনা বেগম। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি পরিবারের বড় ছেলে। ২০১৭ সালে শালদীঘা গোপাল গোপীনাথ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ২০১৯ সালে সিলেট ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মানবিক শাখায় ১ম স্থান অর্জন করে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন বর্তমানে তিনি অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। কলেজ জীবনেই তার কবিতা লেখা হাতেখড়ি। কবির সাহিত্যিক জীবন শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে। ২০১৯ সালে সিলেটের ‘দৈনিক শুভ প্রতিদিন’ পত্রিকায় কবির প্রথম কবিতা “প্রতিবাদ” প্রকাশিত হয়। আরো বিভিন্ন পত্রিকায় কবির বেশ কিছু কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ম্যাগাজিন, জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট পত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি বর্তমানে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের অন্যতম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মুরারিচাঁদ কবিতা পরিষদ’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কবির লেখা প্রথম ছোট গল্প “প্রভাত কুহেলি” প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ সালে ছাড়পত্র ম্যাগাজিনে। কবিতার পাশাপাশি তিনি বেশ ছড়াও লিখেছেন। তার লেখা জনপ্রিয় রোমান্টিক কবিতা ‘সুরমা ঘাটের পরী’। তার লেখা যৌথ কাব্যগ্রন্থের মধ্যে “সময়ের স্রোতে” বইটি অন্যতম এবং কবির মোট যৌথ কাব্যগ্রন্থ সংখ্যা ১১ টি। “সময়ের স্রোতে” বইটি কবির দ্বিতীয় সম্পাদনা। তিনি পেশাগত জীবনে শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবনে সাংবাদিকতায় নিযুক্ত রয়েছেন।
2024-09-25