প্রেম নিবেদন

ঋতু আর আমি ছোট বেলায় থেকে এক সাথে স্কুলে পড়াশুনা করতাম। এভাবে আমাদের জীবন চলতে থাকে আসলে জীবনের বাঁকে বাঁকে কত স্মৃতি পড়ে থাকে তা কখনো ভোলার নয় এর এই নামই জীবন। ঋতুর কথা -বার্তা চাল -চলন আমাকে খুব আকৃষ্ট করত। আর ও হাসলে যেন মুক্তার দানা ঝড়ে,ঠোঁট খানা যেন ডালিমের মত গোলাপী আর মুখ খানা যেন চাঁদের মত। দেখতে যেন অপ্সরা পরীর মত দীঘল কেশ। পড়াশুনায় ও খুব ভাল।এভাবে আমাদের অষ্টম শ্রেনি শেষ করে যখন নবম শ্রেনিতে পদার্পণ করলাম তখন আমাদের মাঝে ভালবাসার স্পর্শ করে ও তখন যৌবনের কিছু ছোঁয়া দু,জনার মধ্যে ফুটে ওঠে। আর ভালবাসা তো মানুষকে স্বর্গে নিয়ে যায়। ঋতুর আর আমার মধ্যে প্রেমের ভাল সম্পর্কে গড়ে ওঠে। দু ‘জনে এক সাথে হাতে -হাত ধরে চলা এ যেন এক অন্য রকম অনুভূতি। এক সাথে পার্কে বসে কথা বলা সেই রোমান্স দৃশ্য গুলো যেন আমার বুকের মাঝে নাড়া দেয়। হঠাৎ আমাদের পরিবারে করুন অবস্থা দেখা দেয়। তখন আমাদের মাঝে সম্পর্ক টা যেন পাটল ধরতে থাকে। আর ওর বাবা -র চাকুরি টা পরিবর্তন হয়ে যায় তখন ওর সাথে আমার সাথে আর দেখা সাক্ষাৎ হয় না। আর তখন তো আর মোবাইল আর ফেসবুক ছিল না। আমি আবার নিয়মিত মাসিক, দৈনিক, পাক্ষিক পএিকা পড়ি। হঠাৎ দেখি আমার সেই বাল্যকালের ভালবাসার মানুষটির ছবি। আর হেডিং লাইনে দেখি এম, বি,এস,এফ,সি,পি,এস মেডিসিন বিভাগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ। আমি তো পুরো হতবাক তাঁর সাথে দেখা করতে আমি ঢাকা যাবো এর জন্য আমি নতুন পোশাক কিনলাম আর জেন্টস পার্লারে সুন্দর একটা হেয়ার স্টাইল দিলাম চুলে। আমাদের বাড়ির কাছ থেকে লঞ্চ ঢাকা যায়।আমি পর দিন নিজেকে পরিপাটি করে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। আর আনমনে ভাবতে থাকি ও কি আমাকে চিনতে পারবে। এভাবে ভাবতে -ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল ছয়টার দিকে লঞ্চ ঢাকা সদরঘাট এসে ঘাট করল।তখন আমি লঞ্চ থেকে নেমে ঢাকা মেডিকেল উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। ঢাকা মেডিকেলে যায় উঠি।তখন আমি ইমার্জেন্সী বিভাগে একটা মেডিসিন বিভাগের একটা প্রেস্ক্রিপসন কাটি। আর ওর চেম্বারে ঢুকে পড়ি। ও তখন আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল কতক্ষন পড়ে বলল আপনি সেই শুভ না যার সাথে আমার কত সম্পর্ক ছিল বাবার চাকুরি বদলি হওয়ার কারনে আপনার সাথে আমার আর যোগাযোগ করতে পারিনি আর আমি হতবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম।

লেখক:
আব্দুল্লাহ আল ইসলাম মামুন। ইংরেজি বিভাগ,
কবি নজরুল সরকারি কলেজ ঢাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *