মাইলস্টোন
প্রিয়াংকা নিয়োগী
(কোচবিহার,ভারত)
আকাশে দৃষ্টি বিরাজমান,
একই পলকে তাকিয়ে রই সেই মহাকাশে,
যেখানে শুধুই আমি আমার নীলাভোয় মিলিয়ে যেতে পারি,
আশা রাখতে পারি সেই সুদূরের পথে পাড়ি দেবার,
“একদিন পৌঁছবো মাইলস্টোনে”।
মাইলস্টোন নামটি শুনেছি অনেকবার,
ওখানে কি আছে জানার জন্য মন ব্যাকুল হয়েছে বহুবার।
পৌঁছলেই বুঝতে পারব সেখানে কি আছে?
একদিনে পৌঁছনো সম্ভব নয় তাও জানি,
ধৈয্যের সাথে কাজ করে গেলে অবশ্যই পারব।
শানিত কাজ উজ্জ্বল করবে বংশের নাম,
দেশের নাম।
তবে হ্যাঁ রাস্তাটা নিজেকেই তৈরী করে নিতে হবে,
আসবে অনেকে বাধা হয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য,
তবে আমাকে শক্ত থাকতে হবে,
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে পৌছঁনোর শেকলে আমায় নিজেকে বেধে রাখতে হবে।
এমন শক্ত করে কষে বেধে রাখতে হবে নিজেকে,
যাতে কোনো ঝোড়ো হাওয়া উড়িয়ে নিয়ে যেতে না পারে।
নিজেকে মুড়ে রাখতে হবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের চাদর দিয়ে।
আসবে কিছু কথার দ্বারা মনে সুরসুরি দিয়ে,
মনকে গলিয়ে দিয়ে নীচু করতে ।
কথার তরোয়াল নিয়ে ক্ষত বিক্ষত করতে মন,
হৃদপিন্ড যাতে ব্যাথায় কুকরে যায়,
মননিবেশ অন্যদিকে সড়ানো যায়,
চেষ্টা চালাবে অনেকেই।
সুরসুরি দেওয়া কথার মাঝে ভাজে ফেলতে চেষ্টা করবে,
কথার ভাজে যাতে ভাবনাগুলো ভাজ করে দেওয়া যায় তার চেষ্টায় আষ্টেপৃষ্ঠে থাকবে কতিপয়।
মনকে তেমনভাবেই শক্তপোক্ত রাখতে,
কঠিন থেকে কঠিন থাকতে হবে,
নিজের উদ্দেশ্য ও লক্ষকে বাস্তব চরিতার্থ করার জন্য।
কাচেরগুড়ো ছেটানোর জন্য কিছু লোক চলে আসবে সুযোগবুঝে,
কাচেরগুলো ধূলিসাৎ হয়ে যাবে হয়তো সেই শেকলের আঘাতে।
মনের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে আসবে কেউ সময়ের সাথে।
মনের শক্তির উথান যোগাতে পাশে থাকবে কেউ নীরবে।
আগুনও পোড়াতে আসলে যেন,
সেই আগুন নিজেই পুড়ে যায় সেই শেকলের কাছে।
তুষারপাত কিছুতেই দমাতে পারবে না,
বরং ঐ শেকলের কাছে নিজেই দমবে ও মিশে যাবে।
এত যত্ন করে গড়া লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের গন্তব্যে পৌঁছেই যেন তার ছুটি নেই,
সেখান থেকেতো নতুন গন্তব্যে পৌছাঁনোর নক্সা কাটা,
আবারও নতুন যাত্রা শুরু,
সব বাধা পার করে –
পৌঁছাবোই মাইলস্টোনে।